মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে চলছে তুমুল সংঘর্ষ। এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ। চলমান এই সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুম অংশে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে নানা অস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম। আর এসব কুড়িয়ে আনছেন স্থানীয়রা।

নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেঁপে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অন্তত ১৩টি গ্রাম। গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অনবরত গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে এপারের বাসিন্দারা।

এদিকে সীমান্তবর্তী জলপাইতলী গ্রামে সোমবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশী নারী’সহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সীমান্ত জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তের তুমব্রু বাজারপাড়া, মাঝেরপাড়া, কোনাপাড়া ৩টি গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ, আনোয়ার জানান, সীমান্তে বাংলাদেশীরা চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ। সীমান্তবর্তী ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে চলমান গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিষ্ফোরণের বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু’সহ আশপাশের এলাকাগুলো। সর্বশেষ জলপাইতলী গ্রামে মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশী নারী আসমা খাতুন (৫৫)’সহ দুজনের মৃত্যু হয়। এর আগে মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে রোববার বাংলাদেশী নাগরিক প্রবিন্দ্র ধর ও রহিমা বেগম দুজন আহত হয়। আগের দিন মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে সিএনজি অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে যায় এবং সীমান্তবর্তী বহুঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মর্টারশেলের গোলার আঘাতে।