ফিলিস্তিনের গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নেরও পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

চ্যানেল ১২ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর তিন মন্ত্রী এবং আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যায়ের ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। গ্রেফতারি পরোয়ান ঠেকাতে করণীয় নির্ধারণে ওই বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

হেগের আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালতের পক্ষ থেকে নিকট ভবিষ্যতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে এমন একটি বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এ বৈঠকের ডাক দেন। কোনো সূত্রের বরাত না দিয়ে চ্যানেল ১২ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তা স্থগিত হলে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান।