পবিত্র ঈদুল আযহার আগে শেষ দিনে আজ ঘরমুখো মানুষের চাপ আরো বেড়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বেশিরভাগ সড়কেই তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এরমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজট ক্রমেই আরও দীর্ঘ হচ্ছে। আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাসড়কের সদর উপজেলার আশেকপুর, ঘারিন্দা, শিবপুর, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় তীব্র যানজট। ফলে ঘর মুখো মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। গন্তব্যে যেতে দুই থেকে তিন গুন বেশি সময় লাগছে।

সকালে মহাসড়ক পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নেতৃত্বে যানজট নিরসনে মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। তার পরও যানজটে মানুষের ভোগান্তি হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করছি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার যানজট মুক্ত রয়েছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে যানবাহন চলাচল বাড়লেও কোথাও যানজট নেই।শনিবার সকালে মহাসড়ের দাউদকান্দি, গৌরীপুর, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, পদুয়ারবাজার, মিয়াবাজার, চৌদ্দগ্রাম ঘুরে দেখা যায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে এ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা স্বস্তিতে রয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে স্বস্তির যাত্রা

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই। পদ্মা সেতুতে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক। সকাল থেকেই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলছে স্বাভাবিক গতিতে। তবে সায়েদাবাদ থেকে চিটাগাং রোড ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বের হতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। এরপরও আর কোথাও যানজটের দেখা মেলেনি।

সিরাজগঞ্জের পথে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঈদুল আজহার আগের দিন সকালে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। আগের দিনগত রাতের যানজট কেটে গিয়ে পুরো মহাসড়কেই স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্যে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চলাচল অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে এখনো যথেষ্ট চাপ রয়েছে উত্তরবঙ্গগামী লেনে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদের আগের দিন যানবাহন ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাটে যানবাহনের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকলেও ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হতে পারছেন। একই অবস্থা ছোটবড় যানবাহনগুলোরও। রাজধানী ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাস, ছোট গাড়ি, ট্রাকগুলোও ঘাটে এসেই ফেরি পার হতে পারছে। পারের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হচ্ছে না তাদের। এজন্য পরিবহন চালক ও যাত্রীরা স্বস্তি জানিয়েছে। ভোগান্তি ছাড়া লঞ্চেও পার হচ্ছে ঘরমুখো মানুষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ঘাটে অপেক্ষমাণ কোনো যানবাহন নেই। তাই স্বস্তি নিয়েই ফেরি পার হতে পারছে ঘরমুখো মানুষ।যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় ২১টি ফেরি চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।