বাংলাদেশে বছরে অন্তত ১২ থেকে ১৫ হাজার নারী নিজ ঘরেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শুধুমাত্র ট্রিপল নাইন থেকেই পাওয়া গেছে এ তথ্য। সমাজে নারীর অগ্রযাত্রার বাড়ার সাথে সাথে নির্যাতনের মাত্রাও বাড়ছে। ”নারী কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে নারীপক্ষ-২০২৪ পালিত হলো। নারী নির্যাতন কমাতে আইন সংস্কারের পাশপাশি অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা দরকার বলে মনে করেন নারী নেত্রীরা।

এই সেই অভাগা বাবা, যার পাঁচ বছরের শিশু কন্যা নিজেরই আত্মীয়ের দ্বারা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

গেলো নভেম্বরের ২৪ তারিখ দুপুরে রিক্সা নিয়ে বেড়িয়েছিলেন তিনি। শিশুটির মা অন্যের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে একা পেয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী আত্মীয় রুবেল। শিশুটির মা রাতে বাড়ি ফিরে বুঝতে পারেন প্রিয় সন্তানের অমানবিক নির্যাতনের বিষয়টি।

এই শিশুর মতোই প্রতিদিন সারা দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের নারীরা নানা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসি’র তথ্য বলছে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত এবছর ৪১৭ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছে। ওসিসি’র সমন্বয়ক ডাক্তার সাবিনা ইয়াসমিন জানায় গেলো কয়েক বছরে যৌন নির্যাতনের সংখ্যা বেশি বেড়েছে।

পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর তথ্য অনুযায়ী এবছর অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনার সেবা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য বলছে গেল নভেম্বর মাসে ১৬৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭জন। পারিবারিক সুরক্ষা আইন সর্ম্পকে অজ্ঞতা এবং বিচারের দীর্ঘপ্রক্রিয়ার কারনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না বলেও মনে করে নারী নেত্রীরা।নারী নির্যাতন বন্ধ করতে সকলের সচেতনতা বাড়ানোর উপরও জোর দেন তারা।