এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরা, বৈদেশিক সাহায্যের যথাযথ ব্যবহার, ভ্যাট ট্যাক্সের আওতা বাড়ানো ও কার্যকর করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যালেন্সসহ ছয়টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে । বাজেটের ঘাটতি মেটাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ শুক্রবার (১০ই জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, ব্যক্তি করের ক্ষেত্রে কর ন্যায্যতা নেই করপোরেট কর ব্যবসা বান্ধব হলেও দরিদ্র জনগনের কোনও কাজে আসবে না। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা দেশের বাইরে টাকা নিয়ে গেছে তারা টাকাটা ফেরত আনবেনা।
তারপরও তাদের যে সুযোগ দেয়া হলো তা অনৈতিক ও ভ্রান্ত পদক্ষেপ। কর ব্যবস্থাপনাকে সংস্কার ও আধুনিকীকরণ জরুরি। প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক কর ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের যেতে হবে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে অবহেলা করা হচ্ছে। বরাদ্দের পরিমাণ কিছু বাড়লেও মাথা পিছু বরাদ্দ সামান্য। বছরের পর বছর একই প্রকল্প চলছে। এডিপির বাস্তবতা বড় চ্যালেঞ্জ। সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ মোট বাজেটে কমেছে। পেনশনের বরাদ্দটুকু বাদ দিলে ১৪ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে এসেছে। কোভিড কালীন শিক্ষার ক্ষেত্রে লার্নিং লস পূরনে বরাদ্দ জরুরি ছিলো। সেখানে জিডিপির মাত্র ১.৮ শতাংশ। আগের অর্থবছরের তুলনায় কম।
তিনি আরও বলেন, প্রাধিকার খাতে বরাদ্দে আরো নমনীয় ও সুনিদর্দিষ্ট আর্থিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিলো। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করনীয় পদক্ষেপগুলো সুনির্দিষ্ট নয়। এটা বড় ব্যর্থতা। অপ্রদর্শিত আয় ও বাইরের টাকার বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সমর্থন যোগ্য নয়। যে কৌশলগুলোর কথা বলা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। কৌশল ও পদক্ষেপ যা বলা হয়েছে তাতেও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এখন বাস্তবায়ন কিভাবে হয় তাও দেখার বিষয়।