দুর্যোগ কবলিত এলাকায় আগামীকাল সোমবার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সোমবার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা হয়েছে। তবে, কর্মচারী যারা আছেন… তাদের সার্বক্ষণিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে আশ্রয়ের জন্য কোনও লোক এলে তারা যেন সহযোগিতা পায়। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস আগামীকাল বন্ধ থাকবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত হানার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। সচিবালয়ে আন্তঃ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, দুর্যোগের আগে ও পরের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তিনি সংবাদিকদের বলেন, ঝড়-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন উপকূলীয় এলাকায় পুলিশ কোস্টগার্ড বিজিবি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে ওইসব এলাকার উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দুর্গত এলাকায় বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখাা বা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। পরবর্তীতে বাড়তি কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার ঘাটতি পূরণ করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।