চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (রোববার) বেলা ৩টার দিকে জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দর নগরীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশকে ঘিরে মিছিল আর স্লোগানে মুখর পলোগ্রাউন্ডসহ আশপাশের এলাকা। আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হচ্ছেন পলোগ্রাউন্ডে। চট্রগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে কৃতজ্ঞ এলাকার মানুষ।
চট্রগাম ও আশপাশের জেলার সব পথ মিলেছে যেন পলোগ্রাউন্ডে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশ উপলক্ষে মিছিল আর নানা রঙের ব্যানার, পোস্টার নিয়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সমাবেশস্থলের দিকে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। কেবল মহানগর নয়, পার্বত্যসহ অন্যান্য জেলা ও ফেনী নোয়াখালী, লক্ষীপুর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আসছেন এই জনসভায়।
এর আগে জনসভার মূল মঞ্চে বেলা সোয়া ১১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
আজকের জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১১ বছর পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভা সঞ্চালনা করছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এদিকে সকাল থেকে মিছিল নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ রাত জেগে সভাস্থলের প্রবেশপথে অপেক্ষা করেছেন।
জনসভার প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান। ওই সময় সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
বিএমএতে ৮৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে দুপুরে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। বিকাল ৩টার দিকে জনসভায় ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। সভাস্থল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য।