টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সড়কসহ নানা অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে নগরীর একাধিক সড়ক-নালা ও খাল। শুধুমাত্র খাতুনগঞ্জে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পণ্য। ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পও।

ধসে পড়েছে পটিয়া শ্রীমাই খালের ওপর নির্মিত রেল সেতু। এটাকে প্রকল্পের শুরুতে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলীরা। কয়েক দিনের বন্যায় কক্সবাজারে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাঙামাটিতে এখনও পানিতে তলিয়ে আছে তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সড়ক ধসে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাঙ্গু নদীর তীরে ধসে গেছে ৯টি বসতভিটা।

কেন বন্যায় উঁচু রেলপথ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেলো- এমন প্রশ্ন এখনও এলাকার মানুষের মুখে মুখে। কারণ হিসেবে এই তিন উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের নতুন রেল লাইনকে দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রেলপথে সেতু ও কালভার্ট কম থাকায় বন্যার পানি নামমতে পারেনি।

বন্যার পানির তোড়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি অংশে রেললাইন বেঁকে গেছে। পাথর সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

এই রেলপথের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি বড় সেতু এবং ১৪৫টি ছোট সেতু ও কালভার্ট করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমীক্ষা করেই এই রেলপথ তৈরি করা হয়। এই এলাকার গেল একশ বছরের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের তথ্য যাচাই করে নকশা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভবিষ্যতে আরো বড় দুর্যোগ হতে রেহায় পেতে প্রকল্পটি আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।