গত জুলাই মাসের তুলনায় চলতি আগস্ট মাসে বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই সঙ্গে আগামীতে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে বলে আশা করেছেন তিনি। আজ শনিবার (২৭শে আগস্ট) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও শোকাবহ ১৫ই আগস্ট’ বিষয়ে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ সুখী, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলায় পরিণত হবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও প্রগতির মতাদর্শই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল শক্তি। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর একটি সময়োপযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে উন্নয়নের শক্ত ভিত নির্মাণ করেছিল। একটি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় এমন কোনও বিষয় নেই যে তিনি স্পর্শহীন রেখেছেন। রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা, আদর্শিক সংগ্রাম, কষ্ট স্বীকার ও আত্মত্যাগ বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।”

তিনি বলেন, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্বালানি ও বিদ্যুৎ-কে অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম খাত বিবেচনা করেছিলেন। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেজন্য তিনি বিদ্যুতকে সংবিধানের অংশ করেছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বঙ্গবন্ধু যে কী পরিমাণ দূরদর্শী মানুষ ছিলেন, তা বোঝা যায় তার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে— মৃত্যুর মাত্র ৫ দিন আগে তিনি শেল ওয়েল কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন, যেখান থেকে আমরা এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় ৪০ ভাগ গ্যাস পাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “২০০৯ সালের পূর্বে সারাদেশে দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। সেই কঠিন অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন।”

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন— সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান।