এ সময় চা শ্রমিকদের ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (তেসরা সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চার জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে চা-শ্রমিকদের বৈঠকটি শুরু হয়।
সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ঐতিহ্যবাহী চা শিল্পকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না। চা শিল্প যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। এজন্য মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, চা শ্রমিকরা ভালোভাবে বাঁচলে এই শিল্প বাঁচবে। এ দেশে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের সবাইকে ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চণ্ডীছড়া চা-বাগানের খেলার মাঠ থেকে জেলার ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকরা ভিডিওকলে অংশ নেয়। এছাড়া মৌলভীবাজার থেকে ভিডিওকলে অংশ নেয় ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। এছাড়া সিলেট এবং চট্টগ্রাম থেকেও ভিডিওকলে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ২০ দিন কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফিরেন তারা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ই অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৩ই অগাস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।
এরপর ২৭শে অগাস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফিরেছেন।
চা-শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবির প্রেক্ষিতে আজ শনিবার এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।