দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চ, স্পিডবোট অথবা ফেরিতে পাড়ি দেয় উত্তাল পদ্মা। আজ রোববার (২৬শে জুন) সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
চিরচেনা রূপ হারিয়েছে শিমুলিয়া ঘাট। অনেকটাই যানবাহন শূন্য, কোলাহলমুক্ত। অনেক লঞ্চ ও স্পিডবোটকেই যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অথচ এতোদিন রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণের জেলাগুলোর স্থলপথে সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় (পদ্মা সেতু চালুর আগে) দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো সীমা ছিল না এই ঘাটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, “সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোট যথানিয়মে চলাচল করছে তবে যাত্রীসংখ্যা অনেক কম। এদিকে ভোরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরই পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ জট তৈরি হয়।
সকাল ৬টায় সেতুর গেট খোলার আগে থেকেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শত শত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করতে দেখা যায়। শনিবার (২৫শে জুন) ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ফলক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুতে তিনিই প্রথম টোল পরিশোধ করেন।