চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আজ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিয়োম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ চার বছর পর শেখ হাসিনা ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলো। আর বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও বাংলাদেশের এ বৈঠককে বেশ গুরত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমাদের অব্যাহত চাপের মধ্যে হওয়া বৈঠক বিশেষ কোনো বার্তা দিতে পারে।

বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশ রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জোহানেসবার্গে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে তিনি জোহানেসবার্গের র‌্যাডিসন ব্লু হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ এ বক্তব্য দেন।

২৪শে আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ফ্রেন্ডস অফ ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস  প্লাস ডায়লগ) ‘ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন।