চীনে হঠাৎ বেড়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। সেইসাথে বাড়ছে দেশটির হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা। এতে চীনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও দেশটির সরকারের দাবি, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এদিকে, ভারতে শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের উপধরণ।
তিন বছর আগে যে চীন থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারির শুরু, সেখানেই স¤প্রতি আবারো দেখা দিয়েছে ভাইরাসটির মারাত্মক সংক্রমণ। যা প্রতিরোধে দেশজুড়ে জারি করা হয় শূন্য কোভিড নীতি। যদিও জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে চীনা সরকার। এতে দেশটিতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের নতুন উপধরণের সংক্রমণ। ফলে দেশটি বড় ধরণের ধাক্কার সম্মুখীন হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।
স্থানীয় সময় বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্রেবিয়াসাস বলেন, চীনের বেইজিং ও অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলোতেও ক্রমেই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এছাড়া কঠোর কোভিড নীতি শিথিল করার পর কমে গেছে সারাদেশে ভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা। ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সঠিক সংখ্যা ও বিস্তারিত তথ্য দিতে চীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, চীনে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ধরণের সংক্রমণ মিলেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। এরই মধ্যে দেশটির গুজরাট ও উড়িষ্যায় চারজনের দেহে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনের উপধরণ ‘বিএফ-সেভেন’। ফলে ভারতজুড়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।