চীন থেকে বাংলাদেশে আসা চার নাগরিকের প্রাথমিকভাবে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য তাদের ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আনুমানিক বিকেল ৩টা নাগাদ চারজনের শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়ে নিশ্চিত হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে আমরা শনাক্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা গত সপ্তাহ এবং তার আগের সপ্তাহ থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে সচেতনভাবে কাজ করছিলাম। একইসঙ্গে আরও যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে, তাদেরও ওপরও আমরা পর্যবেক্ষণ বাড়িয়েছি।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ওখানে পরীক্ষা করে চারজনকে পেয়েছি। এদের এখন পিসিআর পরীক্ষা করে নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, বিএফ–৭ নামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ–৫ এর নতুন ধরন বিএফ–৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি ওমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।