প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে, দলমত নির্বিশেষ সবাই এখন স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারছেন। আগামী দিনে ব্যবসায়ীদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সেই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার সবসময় ব্যবসায়ীদের পাশে আছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
চাকরির পিছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এক একটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ‘৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়।’ অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারিখাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করে আর টক টক কথা বলেন। সেই টক টক কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝে আমি বলি, আপনারা শুধু টক টক বলেন কেন? কথা যদি টক-ঝাল-মিষ্টি হয় তখন না সুস্বাদু হবে।
তিনি বলেন, একজন বলে দিলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল।’ মানে আপনি যাই করতে যান, কিছু লোকের মানসিকতাই হচ্ছে কিছুই ভালো লাগে না। তাই কিছুই ভালো লাগে না লোকের কথা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সেটাই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে সেই ৮১ সালের বাংলাদেশের অনেক তফাৎ। অনেকেই বলেছিলেন যে, ‘এতো ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এতোবড় না।’ আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এতো ছোটো থাকবে না। অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে ব্যাংক দিতে হবে। কাজেই সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এফবিসিসিআই আয়োজিত ব্যবসায়ীদের এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে, গত মার্চে সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছিল এফবিসিসিআই। ওই সম্মেলনে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৬টি অধিবেশনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। সেগুলোর একত্রিত একটি প্রতিবেদন এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে এফবিসিসিআই।