প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই হবে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে সবার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মনে করেন তিনি। তবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারব ।
আজ (রোববার) বেলা ১১টায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক ইসি সচিব ও সাবেক অতিরিক্ত সচিবদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামীতে আরও ভালো নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী নির্বাচন ভালো করতে পারবো। সকল নির্বাচন সফল করতে আমরা চেষ্টা করবো। আপনারা নির্বাচনের ভেতরের ও বাইরের চ্যালেঞ্জের কথা জানবেন।’
এছাড়া আজকের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে বেশকিছু পরামর্শ ও মতামত দিয়েছেন তারা।
ভোটের আগে স্থানীয় প্রশাসন রদবদল আনার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, এতে নির্বাচনে ভালো প্রভাব পড়বে। নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো বিষয়ে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ ও প্রার্থীদের আইন মানতে বাধ্য করার পরামর্শও দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা।
প্রত্যন্ত এলাকায় ইভিএম ব্যবহার না করার পরামর্শ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক রাখার কথা বলেছেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে আসা ও প্রয়োজনে সরকারের সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক আমলারা।
ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে গোপন কক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে পেশীশক্তি ও অবৈধ অর্থের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরামর্শগুলো আমলে নিয়ে এসব বিষয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এর আগে নির্বাচন কমিশন ১৩ ও ২২শে মার্চ এবং ৬ ও ১৮ই এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।