ভারতের দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আটকের দুই ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। আটক হওয়া অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব এবং শিবসেনা (ইউবিটি)-র সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সাগরিকা ঘোষসহ ৩০ জনের বেশি এমপিকে আটক করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, নির্বাচন কমিশন কেবল ৩০ জন এমপিকে তাদের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এছাড়া ইসির উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য কেউ আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেননি বলেও জানায় পুলিশ। থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাওয়াত এবং টিএমসি’র সাগরিকা ঘোষসহ ৩০ জনেরও বেশি সাংসদকে আটক করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন মাত্র ৩০ জন সংসদ সদস্যকে তাদের প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ‘বিপুল সংখ্যায়’ ছিল বলে দাবি কর্মকর্তাদের। এছাড়া নির্বাচন কমিশন অভিমুখে প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কেউ অনুমতি চায়নি বলেও দাবি তাদের।

এর আগে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সোমবার সকালে দিল্লিতে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোট চুরির অভিযোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ।

পরে সংসদ সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় রাহুল গান্ধী, ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন এমপিকে আটক করে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় রাজনীতিবিদ ও বিপুলসংখ্যক দলীয় কর্মীর ভিড়। কেউ রাস্তায় বসে আছেন, কেউ পতাকা ও ব্যানার হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। অনেকে পুলিশ ও তাদের ব্যারিকেডের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করছেন।