মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বড় ছেলে রফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে তার জানাজার নামাজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা করা যায়নি।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। জানাজায় আশপাশের জেলাগুলো থেকেও তার বিপুল সংখ্যাক ভক্ত ও অনুসারী অংশ নেন।
গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন তিনি।
সাঈদীর মৃত্যুর খবর শোনার পর গতকাল রাতে জামায়াত-শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও ভক্তরা হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা ঢাকায় জানাজা করতে চাইলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বারণ করা হয়। অনড় অবস্থানে থাকা জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাতভর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে।
ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে কড়া পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাঈদ অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।