নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। জনগণের জয় হবে, ইনশাআল্লাহ।’ ভরাডুবির ভয়ে ক্ষমতাসীনরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে রাজি হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি’র আন্দোলন দমাতে আবারও জঙ্গি অভিযানের নাটক শুরু করেছে সরকার।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনাসভা করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। এতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কোকো’র নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বক্তারা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের চাপে পড়ে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।

কোকো প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একজন ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার মানুষ। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে। রাজনৈতিক কারণেই বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। যদি এই পরিবারের সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। তিনি মূলত রাজনীতির শিকার হয়েছেন।

তিনি নেতাকর্মীদের আশা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণকে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে বলেন, আপনার মুখে হাসি দেখি কেন সবসময়। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এ পাথর জনগণের ঘাড়ে থেকে সরে যাচ্ছে। জনগণ মুক্তি পাচ্ছে একটি ভয়াল থাবা থেকে।

জঙ্গি নাটক সাজানোর অভিযোগ করে তিনি বলেন, যখন আন্দোলন উঠতে থাকে তখনই জঙ্গি নাটক করতে থাকে তারা। এখন জনগণের চোখ অন্যদিকে প্রবাহিত করতে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বোঝাবে আমরা না থাকলে জঙ্গির উত্থান ঘটবে। কী নাটক। এ নাটক করে তারা দেশকে গিলে ফেলেছে।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে’।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয়, দেশের সব নষ্ট করে ফেলেছে এই সরকার।’ তিনি বলেন, ‘দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আছেন, কারও কোনো যোগ্যতা নেই এই পদে থাকার।’