বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। প্রতিমাসে দাম সন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে, যা জনগণের সঙ্গে খুচরা চালাকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী এবং অবিবেচনাপ্রসূত।’
আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, ভ্রান্তনীতির ফলে দেশের অর্থনীতিতে এবং জনজীবনে তীব্র সংকট চলছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় যখন লাগামহীন ভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, যখন মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে, তখন সরকারের এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
তিনি বলেন, দুই মাস আগে পাইকারী পর্যায়ে মূল্য বাড়ানোর পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় কৃষি সেচে, কল কারখানায় উৎপাদনে ব্যয় বাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় এবং প্রতিটি জিনিসের দাম আরও বাড়বে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। কুইক রেন্টাল, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসিয়ে রেখেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট মালিকদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় লাভবান করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়ায় এখন জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।
অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সরকারী গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে ১০ দফা দাবিসহ বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে বিএনপিসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও জোট আগামী ১৬ই জানুয়ারি দেশব্যাপী মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জনসাধারণ এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দিয়ে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর আহŸান জানান ফখরুল।