জন্মের পরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিধান রেখে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২২’র খসড়া শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে এ আইন অনুযায়ী এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে চলে যাবে।

আজ সোমবার (১০ই অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে জন্মের পরপরই হবে নিবন্ধন, আর সেই ইউনিক আইডিই হবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। এর সাথে নির্বাচন কমিশনের অধীন ভোটার আইডির কোনো সম্পর্কে নেই। ভোটার পরিচয়পত্র দেয়া হবে ১৮ বছর বয়সে।  তখন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তন এনে জন্ম নিবন্ধন আইডি থেকেই ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড সরবরাহ করবে।

এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে চলে যাবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। এখন এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে।

তবে এনআইডি আইনটি চূড়ান্তভাবে পাস না হওয়া পর্যন্ত এখন যেভাবে কাজ হচ্ছে সেভাবেই চলবে বলে জানান তিনি।

আগের আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে। নতুন আইনে সেটা থেকে কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। নতুন আইনটি আগের আইনের কাছাকাছি রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে আইনটি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।