সারাদেশের পশুর হাটগুলোতে এখন বেঁচাকেনার ধুম। ক্রেতারা বিভিন্ন হাট ঘুরে যাচাই বাছাই করে কিনছেন তাদের পছন্দের পশু। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও পশু বিক্রি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এদিকে, হাটে জাল টাকার লেনদেন বন্ধ ও ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটগুলোতে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবে সে অনুপাতে গরু বিক্রি কম। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি বলছেন বলে জানান ক্রেতারা। তারপরও তারা দর কষাকষি করে অনেকেই পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার কোরবানির ঈদে বেশির ভাগ গরুর দামই লাখ টাকার বেশি। ক্রেতারা বলছেন, দালালদের দৌরাত্ম্য ও ব্যাপারীদের খামখেয়ালিতে বেড়েছে গরুর দাম। অনেক ক্রেতা গরু কিনতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

গরু কিনতে আসা আরেক ক্রেতা বলেন, গরু কেনার নিয়ত নিয়েই হাটে আসছিলাম। কিন্তু যে দাম, তাতে পোষায় না। এইটা প্রতি বছরের ঘটনা। আশা করি ঈদের আগের রাতে আইস্যা দাম কমবো, তখন কিনবো।

অনেকেই মনে করছেন, হাটে পর্যাপ্ত গরু আছে। তাই গরুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ঈদের দু’একদিন আগে এসব গরুর দামই অনেক কমে যাবে। তাছাড়া অনেকে কেনার পর রাখার জায়গা না থাকায় আগে থেকে গরু কিনছেন না।

শেষ দিনের অপেক্ষা করলে গরুর দাম কমে যায়, এ অবস্থায় শুরুতে ব্যাপারীরা কেন ন্যায্য দামে গরু বিক্রি করেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন ব্যাপারী বলেন, শুরুতে সবার মধ্যে একটা উৎসাহ থাকে। অনেকের মাথায়ই থাকে হাটের সবচেয়ে বড় গরু কিনবেন। তখন বিশাল লাভে গরু বিক্রি করা যায়। পরে কোরবানির আগে আগে কিছুটা কম দামে গরু ছাড়লে লোকসান হয় না। শেষের লোকসানের ভয়ে শুরুতে বেশি দামে বিক্রি করি। তখন যা বেচা হয় তাই লাভ।

ক্রেতার স্বল্পতার চাইতে গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন দালালদের সিন্ডিকেটের কথা। অভিযোগ, দালালদের কারণেই প্রতিবার হাটের শুরুতে গরুর দাম অনেক চড়া থাকে, যা ঈদ ঘনিয়ে আসলে কমে আসে।