বিপিএলে টানা হারের নতুন রেকর্ড গড়ল দুর্দান্ত ঢাকা। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আজ রাতের ম্যাচে ৪০ রানে হেরেছে তাসকিন-শরীফুলরা। এটি তাদের টানা অষ্টম হার। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারানোর পর আর জয়ের দেখা পায়নি দলটি। এর আগের রেকর্ড ছিল সিলেট রয়্যালসের। বিপিএলের প্রথম আসরে প্রথম সাত ম্যাচে হেরেছে দলটি।

বিপিএলে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনের ম্যাচে, রাতে মাঠে নেমেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দুর্দান্ত ঢাকা ও টেবিলের পাঁচে থাকা ফরচুন বরিশাল। এমন ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। তাতে ৪০ রানের জয় পায় বরিশাল।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুবই বাজে হয় ফরচুন বরিশালের জন্য। কেবল ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ১ বাউন্ডারিতে ৪ বলে ৪ রান করে প্রথমে শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন তামিম ইকবাল। এরপর ৮ বলে ১০ রান করা আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ।

বরিশালের বিপদ আরও বাড়ে ৩ বলে ১ রান করা মুশফিকুর রহিমকে তাসকিন বোল্ড করলে। ১৯ রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল এরপর ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। এ দুজনই খেলেন দুর্দান্ত। ৮৫ বলে তাদের জুটি ছিল ১৩৯ রানের। শরিফুলের বলে আউট হন রিয়াদ। তার গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপারের হাতে বল গেলেও কেউ বুঝতে পারেননি।

কিন্তু উইকেটরক্ষক তাহজিবুল ইসলাম উইকেটের পেছন থেকে আবেদন করেন। রিভিউ দেখে রিয়াদকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। শেষদিকে ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ঢাকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

রান তাড়ায় নেমে কখনোই সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। ফরচুন বরিশালের বোলাররা সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দলটির হয়ে অনেকটা একাই লড়াই করেন অ্যালেক্স রস। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩০ বলে ৫২ রান করেন তিনি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ২৮ রান করেন মেহরব হোসেন। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে কেবল ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।