টানা হারের ক্ষত নিয়ে বিপিএল পার করছে দুর্দান্ত ঢাকা। টানা দশ হারে বিপিএলের ইতিহাসে টানা হারের নতুন রেকর্ড করেছে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাদের বিপরীতে অবস্থা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। বিপিএলের চতুর্থ পর্বের স্বাগতিকরা টিকে আছেন বিপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে। সেরা চারের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তুষার ইমরান শিষ্যদের।
এমন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ঢাকা। তাতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার সৈকত আলি আউট হয়ে যান। স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিয়ে জশ ব্রাউনকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ১৪ বলে ১১ রান করেন ব্রাউন।
২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন টম ব্রুস ও তানজিদ হাসান তামিম। ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের জুটি ভাঙেন উইলিয়ামস। তার বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন ব্রুস।
চট্টগ্রামের পরের ব্যাটাররা কেউই সেভাবে দলের হাল ধরতে পারেননি। তানজিদ হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে আউট হন ১৯তম ওভারে। ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫১ বলে ৭০ রান করেন তানজিদ। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শরিফুল, দুটি উইকেট নেন তাসকিনও। তবে ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৮ রান। একটি করে উইকেট পান মোসাদ্দেক ও উইলিয়ামস।
রান তাড়ায় নেমে ঢাকার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। শুভাগত হোম এক ওভারের ভেতর তুলে নেন অ্যাডাম রোসিংটন ও সাব্বির হোসেনের উইকেট। ওপেনার নাঈম শেখ ৩৫ বলে ২৯ রান করেন। ঢাকার হয়ে রান করেন অ্যালেক্স রস, পুরো টুর্নামেন্টের মতোই। ৪৪ বলে ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল। বিলাল খানের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ২২ রানের সমীকরণে আনেন ইরফান শুক্কুর। শেষ ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকান মোসাদ্দেকও।
কিন্তু শেষ অবধি আর ভালো শেষ হয়নি ঢাকার। শেষ ওভারে ১১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ৫ চারে ১৮ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৮ বলে ১৪ রান করেন ইরফান। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শুভাগত। একটি করে উইকেট পান বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল ইসলাম।