ভারতের গুয়াহাটিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটর প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের দেয়া ২৬৪ রান তাড়ায় নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিববিহীন টাইগাররা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ একটি উদ্বোধনী জুটি উপহার দেয় লিটন কুমার দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। দু’জনে মিলে ১৩১ রানের পার্টনারশিপ করে ৬১ রানে ফিরেন লিটন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান। কিন্তু দলীয় ১৮৩ রানে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৮৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে। এরপর ক্রিজে এসে রানের খাতা না খুলেই ফিরতে হয় তাওহীদ হৃদয়কে। তখন কিছুটা চাপে পড়লেও শেষপর্যন্ত মিয়াজের ৬৭ এবং মুশফিকের ৩৫ রানে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে কাঁধে ব্যথা পেয়ে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন কুশল পেরেরা। বাংলাদেশ যখন প্রথম উইকেট পায়, তখন শ্রীলঙ্কার রান ১০৪। নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভারে ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ২ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নেন মাহেদী হাসান। এবারও ক্যাচ নেন শান্ত।
হাফ সেঞ্চুরি করা পাথুম নিশাঙ্কার ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন মাহেদী। নিশাঙ্কা ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৪ বলে করেন ৬৮ রান। ৩২ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকেও ফেরান তিনি। মাহেদীর নেওয়া তিন উইকেটে হুট করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের টপ-অর্ডার। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি।
নিশাঙ্কা ছাড়া আর একজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৫৫ রান আসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে। তাকে আউট করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মাঠে ছিলেন বেশ দুর্দান্ত। দারুণ কিছু ফিল্ডিং করেছেন তিনি। বোলারদের প্রস্তুতিতে শুরুতে নতুন বলে তেমন কিছু করা যায়নি। তবে বল পুরোনো হওয়ার পর দারুণ করেছেন তারা।
৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাহেদী হাসান। সবচেয়ে বেশি ১০ ওভার করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।