ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে। ৩১ দিন পর বাংলাদেশি নাবিকরা সোমালিয়ান জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এম ভি আবদুল্লাহ, সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি মালিকপক্ষের কেউ।
তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড মিররের প্রতিবেদন এবং ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যেসব জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজটি জব্দ করেছিল তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে।
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার সমান। ডেইলি সোমালিয়া জানিয়েছে, অর্থ পাওয়ার পর কিছু জলদস্যু স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুটল্যান্ডের উপকূলে পালিয়ে গেছে। এখন এই দস্যুদের ধরতে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে দস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ে সক্ষম হয়েছে। তাই অন্যান্য দস্যুরাও জাহাজ জব্দ করার মিশনে নামতে পারে।
এদিকে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সও জানিয়েছে, জলদস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়েই বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে। তারা দুই দস্যুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছে। দস্যুরা তাদের জানিয়েছে, দুই দিন আগেই মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপর অর্থগুলো আসল নাকি নকল ছিল সেটি যাচাই করে তারা। এরপর অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে তারা পালিয়ে যায়।
গত ১২ই মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।