পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার বিকেলের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ারও আশঙ্কা আছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৭ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। তিনি আজ শনিবার (২৫শে মে) রাজধানীর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক জরুরি সভা শেষে এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায়  ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে।

তিনি আশঙ্কা করেন, সমুদ্র উপকূলের জন্য বিপদ সংকেত খুব দ্রুতই তিন থেকে চার নম্বরে চলে যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রী জানান, এই মুহুর্তে নিম্নচাপটি মোংলা ও পায়রা পোর্ট থেকে ৫০০থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আছে। ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখতে সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত গোটা উপকূলের প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।