জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (দোসরা মে) সংস্থার সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। ১১২টি দেশ রেজুলেশনটি কো স্পন্সর করেছে।

এ বছর রেজুলেশনটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা-অবজ্ঞার মুখোমুখি। সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা জাগাতে হবে। সমতা ও  সকল মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে। সর্বপোরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথমবারের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথম গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উলে­খ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের উদ্যোগটি বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা বাঙালীকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই শান্তির প্রসারকে পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছে বাংলাদেশ’।

রেজুলেশনটি বিবেচনার আগে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেন। এসময় শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির কথা জানান তারা।