শনিবার ৪ নভেম্বর, জাতীয় সংবিধান দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। দ্বিতীয় বছরের মতো আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) উদযাপিত হচ্ছে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’। গত বছর এই তারিখকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংবিধান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলাদা বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উদযাপনে পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জাতীয় সংবিধান দিবস আজ

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বঙ্গবন্ধুকে সংবিধানের মূল কপি হস্তান্তর করছেন। ছবি : সংগৃহীত

‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আজ শনিবার বেলা ১১টায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এক সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ নেবেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

স্বাগত বক্তব্য রাখবেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মো. মইনুল কবির এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা থেকে আসা অতিথি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সুধীজনরা উপস্থিত থাকবেন।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতি এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও ব্যানার প্রদর্শন এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে। সারাদেশে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির নেওয়া হয়েছে।

এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর ৪ নভেম্বর তারিখকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।