আজ ৭ই এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৭ই এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ঢাকার তেজগাঁওস্থ তৎকালীন জাতীয় সংসদ ভবনে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অর্ধশত বছর পূর্ণ করলো আজ।
১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ১৫টি। অর্থাৎ, প্রথম জাতীয় সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫। প্রথম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মুহম্মদুল্লাহ এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন মো. বয়তুল্লাহ। পরে মুহম্মদুল্লাহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আবদুল মালেক উকিল স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের ৭ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন।
প্রথম সংসদ গঠনের মাধ্যমে দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের যাত্রা শুরু হয়। তবে বছর দুয়েক পর রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যায় দেশ। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পর সামরিক শাসনে ব্যাহত হয় গণতন্ত্রের যাত্রা। প্রথমে জিয়াউর রহমান এবং পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সামরিক তন্ত্র কায়েম করেন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে দেশে আবার সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু হয়। এর পর থেকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চলছে। তবে মাঝে ২০০৭ সাল থেকে প্রায় দুই বছর দেশে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন। এটা চলতি একাদশ সংসদের ২২তম এবং এবছরের দ্বিতীয় অধিবেশন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে স্মারক বক্তৃতা দেবেন।’ সবার অংশগ্রহণে সংসদের বিশেষ অধিবেশন কার্যকর ও প্রাণবন্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামীকাল শনিবার কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী সেটি উত্থাপন ও বক্তব্য রাখার পর সংসদ সদস্যরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর আনা প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হবে। কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ছাড়া সংসদের বৈঠক সকালেই শুরু হবে।