আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার (২৩শে আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইসির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইভিএম নিয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হতে পারে। ইসির কাছে বর্তমানে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম আছে। যা দিয়ে ৭০টি আসনে ভোট নেয়া সম্ভব। দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরো মেশিন কিনতে হবে। এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশন দলগুলোর সুপারিশ আমলে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে মতামত তুলে ধরে। এর মধ্যে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সংশয়-সন্দেহ প্রকাশ করে। বেশ কয়েকটি দল সরাসরি ইভিএমের বিরোধিতা করে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দেয়। আর কয়েকটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষেমত দেয়। তবে বিএনপিসহ ৯টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করে। তারাও ইভিএমের বিপক্ষে।