চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজ শেষ হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প পরিচালক জানান, টানেলের ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে টানেলটি।
দেশের প্রথম টানেল নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক তিন দুই কিলোমিটার। তবে সংযোগ সড়কসহ টানেলের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক তিন নয় কিলোমিটার।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে’র নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই টানেলের দু’টি টিউবের মধ্যে দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার ভার্চুয়ালি এটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ। এসময় প্রকল্প পরিচালক জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলের আরেকটি টিউবের কাজও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
এখন চলছে টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং, কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা, বাতি, পাম্প স্থাপন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির কাজ। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫ দশমিক তিন পাঁচ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক ও ৭৭২ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার।
পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে প্রকল্পের গাড়িও। নদীর তলদেশে হওয়ায় যেকোনও সময় পানি জমতে পারে আশঙ্কায় টানেলের মধ্যে বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচ পাম্প। সব কাজ শেষ করে টানেল প্রস্তুত হতে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব জানান, আগামী জানুয়ারিতে টানেল দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে।
২০১৬ সালের ১৪ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মেগা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর ২০১৯ সালের ২৪শে ফেব্র“য়ারি টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।