বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না সূর্যোদয়ের দেশ জাপানের। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ। সেখানেও গোল হল না। অবশেষে টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে জাপানের তিনটি শট বাঁচিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ইভাকোভিচ। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ফল ৩-১।

এবারের বিশ্বকাপে জাপান রীতিমতো জায়ান্ট কিলার রূপেই দেখা দিয়েছিল। জার্মানিকে হারিয়ে শুরু, এরপর স্পেনকে হারিয়ে মৃত্যুকূপ থেকে রীতিমতো গ্রুপের সেরা হয়েই নকআউটে এসেছিল নীল সামুরাইরা। ক্রোয়েশিয়াকেও দারুণ চোখরাঙানিই দিচ্ছিল হাজিমে মরিয়াসুর দল, এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতেই।

প্রথমার্ধে লুকা মড্রিচ, পেরিসিচদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুরোটাই ছিল জাপানের কর্তৃত্ব। ৪৩ মিনিটে পরিশ্রমের ফল পেল জাপান। দোয়ানের ক্রস থেকে মাইদা বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশ করলেন। ক্রোয়েশিয়া একটি সুযোগ পেয়েছিল বটে, কিন্তু ফিনিশ করতে পারেনি তাদের স্ট্রাইকার।

বিরতি থেকে ফিরে ৫৬ মিনিটে গোল শোধ করে ক্রোয়েশিয়া। হেডে সমতা ফেরান ইভান পেরিসিচ। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ৬ গোল করে ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি সুকেরকে স্পর্শ করলেন তিনি। ৬৪ মিনিটে মাইডার পরিবর্তে আসানোকে নিয়ে আসে জাপান। পেটকোভিচকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকারে বুদিমিরকে নামায় ক্রোয়েশিয়া।

তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত কেউ জয়সূচক গোল করতে না পারায় প্রথমবার এই বিশ্বকাপে খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়। তবে এই সময় খেলায় ফিরে এসেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে মিতোমার দুর্দান্ত শট বাঁচিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় ১৫ মিনিটেও গোল হল না। ম্যাচ চলে গেল টাইব্রেকারে। দেখার ছিল জাপানের গোলরক্ষক গন্ডা নাকি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ইভাকোভিচ- কে বাজিমাত করেন।

মিনামিনোর প্রথম পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার কিপার লিভাকোভিচ। ভ্লাসিচ নড়বড় করলেও পেনাল্টিতে গোল হয়। ক্রোয়েশিয়া ১-০ এগিয়ে যায়।

এরপর জাপানের মিতোমার পেনাল্টিও ঠেকিয়ে দেন লিভাকোভিচ। এরপর গোল করে ক্রোয়িশিয়াকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ব্রোজোভিচ।

এরপর গোল করেন জাপানের টাকুমা আসনো। ক্রোয়েশিয়ার লিভাজার শট ঠেকিয়ে দেন জাপানি গোলকিপার এস গোন্ডা।

এরপর আবার জাপানের ইয়োশিদার শট ঠেকিয়ে দেন  লিভাকোভিচ। পরে লক্ষ্যভেদ করেন মারিও পাসালিক। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ক্রোয়েশিয়া।

শেষ ষোলোয় হলো না সূর্যোদয়। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর এবারও নকআউট থেকেই বিদায় জাপানিদের।