জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের মাকেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সহপাঠী বন্ধু ও ৫৩ ব্যাচের সাধারই শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থী হত্যাকারী অটোরিকশা চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার, ক্যাম্পাসে অটোরিকশা বন্ধ,  মেডিকেল ব্যবস্থার উন্নতিকরণ, সিসিটিভি ক্যামরা স্থাপন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ ১১ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে পেশ করেন তারা।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষাভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনে যান মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পরে বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসানের নিকট ১১ দফা দাবি পেশ করেন তারা।

তাদের উল্লেখ যোগ্য দাবিগুলো হলো- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, ৭ দিনের মধ্যে চিকিৎসাকেন্দ্রের আধুনিকায়ন, রাস্তার পাশে ফুটপাত নির্মাণ ও সিসিটিভি যুক্ত করা, ক্যাম্পাসে শাটল বাস সার্ভিস চালু এবং সকল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা, বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আলোকবাতির ব্যবস্থা করা। এছাড়াও শিক্ষার্থী রাচির মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে এ ঘটনায় বুধবার সকাল পৌনে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২ টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে শাখা ছাত্রশিবির।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে একটি দ্রুতগামী অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আফসানা করিম। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থী আফসানা করিম (রাচি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) এবং বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার নিজ জেলা শেরপুর। তবে তিনি ঢাকার গ্রীণ রোডে পরিবারের সাথে থাকতেন।