ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইনগত দিন ভালোভাবে দেখে তা বাস্তবায়ন করবে সরকার, যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামায়াত স্বাধীন দেশে আর রাজনীতির কোনো সুযোগ না পায়।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল দলটিকে যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত দল বলেও উল্লেখ করেছে। ধর্মের মুখোশ পড়া সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে দলটির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়ে। জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে আইনগত দিক দেখে শিগগিরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে সরকার।
তিনি বলেন গুজব ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেয়ার আহবান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন নিরীহ কোন শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে না। মির্জা ফখরুল এনিয়ে মিথ্যাচার করছে। এসময় তিনি বলেন নিরাপরাধ ব্যক্তি গণগ্রেফতারের নামে অপরাধী সাব্যস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতি উৎসাহী হয়ে নিরাপরাধীদের কেউ যেন হেনস্তার শিকার না হয় সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখতে হবে।
তিনি বলেন কথায় কথায় সরকারকে দোষারোপ করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত, আক্রমণকারী আওয়ামী লীগ নয়। তিনি মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কারা নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে? এদের সাথে বিএনপির জাতীয় ঐক্য হচ্ছে?
তিনি আরও বলেন কই থেকে নির্দেশ এসেছে, টাকা এসেছে, বৈঠক হয়েছে সব তথ্যই আছে। এনিয়ে মিথ্যাচার করে লাভ নেই, জনগণ কাছে দিবালোকের কাছে স্পষ্ট।
বৈঠকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।