জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে গণধোলাই দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে আহত অবস্থায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় গণধোলাইয়ের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী বুধবার সন্ধ্যায় শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় দেখতে পান। এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তাকে মারধর করে প্রক্টর অফিস নিয়ে গেলে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহত শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই রাতে ভিসির বাসভবনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাকে আশঙ্কাজনক মনে হয়নি। এমনকি তিনি নিজে হেটে পুলিশের গাড়িতে উঠেছেন। এরকম আসামিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি রহস্যজনক। নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করছি না।
