যেসব পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতির সনদ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বাংলাদেশের যেসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতি নেই সেসব পণ্যগুলো দ্রুত পেটেন্ট করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ ( রোববার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এসময় তিনি জানান, টাঙ্গাইল শাড়িসহ অন্যকোন পণ্যের জিআই স্বীকৃতি নিয়ে কনফ্লিক্ট হলে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা WIPO তে আবেদন জানাবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা এমন একটি সময় আসলো, যখন টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই পণ্য ঘোষণা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে নিজেদের পণ্য দাবি করা হয়।
এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । ইতিমধ্যে ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে টাঙ্গাইলের বাসিন্দারা।
তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এসব আলোচনার মধ্যেই গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।