সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিককে এই মাসেই মুক্ত করে আনা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা চলছে। এসময় তিনি জানান, জিম্মি নাবিকদের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছে। গত ১২ই মার্চ বাংলাদেশী মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিককে অপহরন করে সোমালিয়ার দস্যুরা।

কবে নাগাদ নাবিকদের দেশে আনা সম্ভব হবে – এমন প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে বন্দি নাবিকদেরকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়াই হচ্ছে আমাদের প্রধান দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা না, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করছি আমরা নাবিকদের সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,  ‘আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে নাবিকদের যেন দেশে আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করতে পারিনি, সেটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই জিনিসটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌপরিবহন অধিদফতর আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজ-খবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাইনি।’

কিভাবে দস্যুদের সাথে আলোচনা এগুচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ আটকে গেলো, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ঠ তৎপর  ছিলেন। তাঁর সহায়তায় আমরা সেটির দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি।’