জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আদালতের দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ (রোববার) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জিএম কাদেরের আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত চৌঠা অক্টোবর তার দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা। জিএম কাদের যাতে জাপার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সে বিষয়ে ৩০ শে অক্টোবর পার্টির কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারে এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জিএম কাদেরের করা আবেদন ১৬ই নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত।

এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ আবেদন শুনানির জন্য ৯ই জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। শুনানির আদেশ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করলে ২৪শে নভেম্বর জেলা জজ আদালত সেটিও খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন জি এম কাদের। পরে ২৯শে নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩০শে  অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ  তেসরা জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।

জিয়াউল হক মৃধা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। গত ২০শে নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮শে ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন জিএম কাদের।

এরপর ৫ই মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। ১৭ই সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন।