ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে পাহার সমান রানের লক্ষ্য জুড়ে দিয়েছে সাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে ভ্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা নিজেদের স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রান জমা করে স্বাগতিকরা। টাইগারদেও জিততে হলে করতে হবে ১৯৪ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজদের দারুণ শুরু এনে দেন কাইল মেয়ার্স। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৪ রান। কিন্তু ২ চার ও ১ ছক্কায় ৯ বলে ১৫ রান করে মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি।

এরপর দলকে দ্রুতই দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৩ বলে ০ রান করা সামারা ব্রুকস আকাশে তুলে মারতে গিয়ে তার বলে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।

২৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে সঙ্গী করে অধিনায়ক নিকোলাস পুরাণ দলের হাল ধরেন। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুলে টাইগার বোলারদের শাসন করে দুইজন। দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে দুইজনই ছুটছিলেন অর্ধশতকের দিকে। তবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হাত ঘোরাতে এসে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কোনো রান না দিয়েই পুরাণকে ফেরান তিনি।

এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন উইন্ডিজ অধিনায়ককে। রিভিউ নিয়েছিলেন পুরাণ, কাজে আসেনি। ৩০ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ফিফটির কোটা পূর্ণ করেন কিং। ৩৬ বলে আসে টি-টোয়েন্টিতে তার এই তৃতীয় অর্ধশতক। পরে কিংকে একপাশে দর্শক বানিয়ে রেখে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রভম্যান পাওয়েল। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিব আল হাসানকে তিনবার ওভার বাউন্ডারিতে উড়িয়ে নেন ২৩ রান।

পরের ওভারে তাসকিনের ওপর চড়াও হন এই ব্যাটিং দানব। সে ওভার থেকে আদায় করেন ২০ রান। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ধ্বংসলীলা চালিয়ে মাত্র ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন পাওয়েল। যেখানে ২টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান ৫টি। পাওয়েল অর্ধশতক করার আগের বলটিতেই অবশ্য আউট হন কিং। শরিফুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন ৪৩ বলে ৫৭ রানে।

পরে রোমারিও শেইফার্ড ৪ বলে ২ রান করে আউট হলে পাওয়েলের ২৮ বলে ৬১ এবং স্মিথের ৪ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পুঁজি পেয়েছে উইন্ডিজ। বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ।