দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ই আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৮ টাকা করা হয়েছে। পেট্রোল লিটারে ৮৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৩৫ টাকা লিটার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর।
প্রসঙ্গক্রমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। বলেন, মানুষের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা এডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। ভারত এবছর ২২শে মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২ টাকা ৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬ রুপি নির্ধারণ করে। এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪ টাকা এবং ১৩০ টাকা ৪২ পয়সা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)।
অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।