ঢাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তও করবে।
অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সামনে ফায়ার সার্ভিসকে নোটিশ টানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
এছাড়া, বেইলি রোডের ঘটনায় হতাহতদের কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৩ ও ২৪ সালে বহুতল ভবনে কতগুলো অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সংশ্লিষ্টদের জানাতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্র“য়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ৪৬ জন। এই ঘটনার পর ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ উঠেছে ভবনের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।
এমন প্রেক্ষাপটে বেইলি রোডের ঘটনায় হাইকোর্টে একাধিক রিট আবেদন করা হয়। এসব রিটের ওপর শুনানি করে সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত আরা হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনা কী ধরণের আছে, তা জানাতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন আদালত। চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডকে অতীতের অগ্নি দুর্ঘটনারই ধারাবাহিকতা বলে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উচ্চ আদালত।
অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সামনে সাইনবোর্ড আকারে নোটিশ টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই ঘটনায় আরেক রিট আবেদনের শুনানি শেষে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
কোড মানা হয় না ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই-এমন ভবনের তালিকাও চেয়েছে আদালত।