বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে পেরুর বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় দিয়ে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল। কাতারে টাইব্রেকের পেনাল্টি শুটে পেরুকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। খেলার শুরু থেকেই দুই দল আত্মরক্ষামূলক ফুটবল খেলে। এতে খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোল শূন্যে থেকে। খেলা টাইব্রেকে গড়ালে পেরুর অ্যালেক্স ভালেরা’র পেনাল্টি ফিরিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার গোল রক্ষক অ্যান্ড্রু রেডমাইন। ফলে পেরুর বিপক্ষে ৫-৪ গোলের জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার।

পেরুর বিরুদ্ধে প্রচন্ড খেটে খেলা অস্ট্রেলিয়াই ম্যাচের শুরুটা বেশি ভাল করেছিল। অজি উইঙ্গার মার্টিন বয়েল প্রথমার্ধে পেরুর রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দুইটো বেশ সুন্দর ক্রস বক্সে বাড়িয়েছিলেন। তবে তা থেকে গোল আসেনি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হওয়ার পর, দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল গোলের আশেপাশে তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে হঠাৎ করেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়িয়ে পরপর তিনটি সুযোগ তৈরি করে সকারুজরা। তবে সেই একই গল্প, ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৯ মিনিটে অবশেষে পেরু একটি ভাল সুযোগ তৈরি করে। তবে অজি কিপার ম্যাট রায়েন পেরুরু এডিসন ফ্লোরেসের শট বাঁচিয়ে দেন। এরপর ফ্লোরেস গোল করার আরেকটি দুর্ধর্ষ সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, তবে তাঁর হেডার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের শেষের দিকে পেরু দাপট দেখিয়েও গোল করতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য দুই ঘণ্টার পর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। পেনাল্টির শুরুতেই অজিদের হয়ে বয়েল যখন গোল মিস করেন, তখন মোমেন্টামটা পুরোটাই পেরুর হাতে চলে যায়। কিন্তু বয়েলের মিসের পর যা হল, তা অনেকটা রূপকথার মতোই।

পেনাল্টি জন্যই ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অস্ট্রেলিয়া গোলকিপার হিসাবে রেডমাইনকে মাঠে নামায়। আর তিনিই হয়ে উঠলেন ম্যাচের নায়ক। প্রতিপক্ষ কিকারদের একাগ্রতা ভঙ্গ করতে গোলে দাঁড়িয়ে ভীষণ পরিমাণে হাত পা নাড়াতে থাকেন রেডমাইন। তাঁর পরিকল্পনা সফলও হয়। পেরুর হয়ে লুইস অ্যাডভিনসিলা তৃতীয় পেনাল্টিটি পোস্টে মারেন এবং ভালেরার পেনাল্টিটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন রেডমাইন। অজিরা প্রথম পেনাল্টি মিসের পর বাকি পাঁচটি পেনাল্টি থেকেই গোল করে। ফলে ৫-৪ জিতে যায় তারা। সকারুজরা বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘ডি’-তে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, টিউনিশিয়া, ডেনমার্কের সঙ্গে জায়গা পাকা করল।