শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মঙ্গলবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারায় আবাহনী। গত আসরেও শেখ জামালের বিপক্ষে জিতে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি ঘরে তুলেছিল তারা। সব মিলিয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের শীর্ষ টুর্নামেন্টে আবাহনীর এটি ২৩তম শিরোপা।
আবাহনীর বিপক্ষে এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন তিনি। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল দেশে ফেরা সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ৩টি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। ডিপিএলে খেলে ম্যাচ ফিটনেসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়া সৈকত আলি ও অধিনায়ক নুুরুল হাসান সোহান ৪১ রান করে করেন।
আবাহনীর পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৬২ রানে এবং রাকিবুল হাসান ২৯ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। নাহিদুল ইসলাম ৩১ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।
শফিকুল ইসলাম ৬০ রানে ২টি এবং সাকিব, সাইফ হাসান, তাইবুর রহমান ও রিপন মন্ডল ১টি করে উইকেট নেন।
আবাহনী শিরোপা নিশ্চিতের দিন সুপার লিগে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সুপার লিগ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মোহামেডান ৮ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে।
এই জয়ে টেবিলের দ্বিতীযস্থানে থাকায় রানার্স-আপের সুযোগ তৈরি হয়েছে মোহামেডানের। লিগের প্রথম পর্ব ও সুপার লিগ মিলিয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে মোহামেডান।
শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯ দশমিক ৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। দলের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৫৮ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৬ রান করেন। শাইনপুকুরের আরাফাত সানি ৩৪ রানে ৩টি এবং নাহিদ রানা ও নাইম আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে মোহামেডানের আবু হায়দার রনি ও মুশফিক হাসানের বোলিং তোপে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে ২৪৭ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। রনি ৪টি ও মুশফিক ৩টি উইকেট নেন।
শাইনপুকুরের মার্শাল আইযুব ৭০ ও অধিনায়ক আকবর আলী ৬১ রান করেন।