দেশের বাজারে চলতি মাসে টানা পাঁচ বার কমলো স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ ব্যবধানে পাঁচ দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমেছে। এ সময়ে ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬ হাজার ৮১২ টাকা কমেছে।
পঞ্চম দফায় প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ৯ হাজার ৬৮২ টাকা থেকে কমিয়ে ৯ হাজার ৬৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। সেই হিসাবে প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম কমেছে ২৭ টাকা। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের একভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকায়। প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১৫ টাকা। যা আগে ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একইদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে নতুন এ দাম নির্ধারণ হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আজ থেকেই কার্যকর হবে।
এদিকে স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের একভরি রূপার দাম নির্ধারণ হয়েছে ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির একভরি রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৬ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৫ সমন্বয়েই হ্রাস পেয়েছে স্বর্ণের দাম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৮ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।