সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার এলাকায় বসে আছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আগে থেকে ভিসা না নেওয়ায় তাকে দুবাইয়ে ঢুকতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আবার গত রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্স এ দেশে ফেরার একটি টিকেট কাটলেও তিনি সেই ফ্লাইটে ওঠেননি। টিকিট হাতেই বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় বসে তিনি বসে আছেন বলে জানিয়েছে দুবাই বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
সূত্র জানায়, টরন্টো থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-২৪২ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দুবাইয়ে এসে পৌঁছান ডা. মুরাদ। এর পর তিনি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এ প্রবেশ করেন। তবে অন-অ্যারাইভাল অথবা পর্যটন ভিসা না থাকায় তিনি ইমিগ্রেশন পার হতে পারেননি। এরপর তিনি বার বার আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। কারন দূতাবাস অনুরোধ করলে সেদেশের সরকার তাকে অন এরাইভাল ভিসা দিতে পারে। কিন্তু শনিবার ছুটির দিন থাকায় দূতাবাস কতৃপক্ষ এ বিষয়ে তাকে কোন সহযোগিতা করেনি।
এদিকে ডা. মুরাদ দুবাই থেকে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন এমন খবরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন।
কিন্তু বিমানবন্দরের একটি সূত্র নিশ্চিত করে বলেন, নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান আসেননি। এর আগে একাধিক সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদ হাসান কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি।
শুক্রবার দুপুর দেড়টায় মুরাদ টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাকে জানানো হয়, তার সেই দেশে প্রবেশে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। তার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাকে দুবাইগামী একটি প্লেনে তুলে দেওয়া হয়।