ভারত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেও অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ আইসিসি প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এক ধাপ নেমে গেছে। অবস্থান করছে দশ নম্বরে!

অবশ্য টাইগারদের এই র‌্যাঙ্কিং গত নভেম্বরেও ছিল না। ভাগ্য ভালো যে, তখনকার কাটঅফ টাইমের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছিল। আর এই বিবেচনাতেই বাংলাদেশ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়েছে।

এদিকে ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজে আধিপত্য দেখিয়েই শীর্ষে উঠেছে। সর্বশেষ রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ৩-০ তে জিতেছে। তাতে ইংল্যান্ডকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের সিংহাসন দখল করেছে রোহিত শর্মারা।

শেষ ম্যাচ জয়ের পর ভারতের রেটিং দাঁড়িয়েছে ২৬৯। ইংল্যান্ডের সমান ২৬৯ রেটিং থাকলেও তাদের চেয়ে ভারতের ১০ পয়েন্ট বেশি। রোহিত শর্মাদের মোট পয়েন্ট ১০ হাজার ৪৮৪, ইংল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৭৪। ইংলিশরা নেমে গেছে দুইয়ে, পাকিস্তান রয়েছে তিনে। বাবরদের রেটিং ২৬৬। চারে নিউজিল্যান্ড ও পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের রেটিং যথাক্রমে ২৫৫ ও ২৫৩।

শ্রীলঙ্কাকে ৪-১ ব্যবধানে হারানো অস্ট্রেলিয়া ৬ নম্বরেই রয়েছে। সাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আটে আফগানিস্তান। নয় আর দশ নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার রেটিং সমান- ২৩১।

ভারতের যেই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, তাতে তারা শীর্ষে উঠতোই। কলকাতায় সর্বশেষ ম্যাচেও এর ঝলক দেখা গেছে। সূর্যকুমার যাদবের বিস্ফোরক ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। সূর্য’র ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি ছয় আর একটি চারের মার! সঙ্গে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ১৯ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। জবাবে ক্যারিবীয়দের হয়ে নিকোলাস পুরান ৪৭ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়। বাকি ব্যাটাররা সেভাবে অবদানই রাখতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হার্শাল প্যাটেল। দুটি করে উইকেট নেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, দীপক চাহার ও শার্দুল ঠাকুর।