টেকনাফের বাহার ছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬৬ জন বন্দিকে উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৩ জন নারী, ২২ জন পুরুষ ও ২১ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা রয়েছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট টেকনাফ ও কোস্ট গার্ড বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার গহীন পাহাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়কারী ও বিদেশে পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় এই অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কেস্ট গার্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানায়, সমুদ্র পথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লোকজন নিয়ে গহীন পাহাড়ে বন্দি রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালায়। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে অভিযানের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গোপন আস্তানায় কিছুসংখ্যক লোকজনকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জড়ো করার খবর পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় সেখানকার পাহাড় চূড়ায় কয়েকটি গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। এসব আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৬ জনকে।
উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছে, টেকনাফে অপহরণ ও মানবপাচারকে কেন্দ্র করে কয়েকটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রের সদস্যরা উদ্ধারকৃতদের কাউকে সাগরপথে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে, কাউকে কাউকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে এখানে এনেছেন।