বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করবে।

আজ (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে প্রতিনিধি দল টেকনাফের জালিয়াপাড়া জেটি ঘাটে পৌঁছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেবেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা রাখাইন স্টেটের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছেন। টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই বাছাই করবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শনের কথা রয়েছে।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রথম দিকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাবার্তা হচ্ছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের দেওয়া এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার।

উলে­খ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।