ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় স্বামী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও এক মেয়ে মারা গেছেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা নারীটি মারা গেলেও দুর্ঘটনার সময় পেট ফেটে বেরিয়ে যায় নবজাতক। শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও গেছে সেই নবজাতকটি। শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রত্না বেগম (৩২), স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০), ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি উপজেলার রায়মণি এলাকায়।

নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফ রব্বানী বলেন, রত্না বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার ডেলিভারির তারিখ দুইদিন পার হয়ে যাওয়ায় তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাফি করতে আসেন। এরপর সেখান ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পরিবারের ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। তবে এসময় আঘাত পেয়ে গর্ভপাত ঘটে রত্নার।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আফসারী বলেন, সানজিদা নামে শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। তবে নিহত অন্তঃসত্ত্বার প্রসব হওয়া কন্যা সন্তান জীবিত আছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক  বলেন, জাহাঙ্গীর আলম অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তার মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম মারা যায়। ঘটনাস্থলেই রত্না সন্তান প্রসব করেন। এ সময় তাদের মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সানজিদা মারা যায়। নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘাতক ট্রাক জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।